কম্পিউটারের ফুল ফর্ম কি আপনার জানা । সঙ্গে রইল ১১ টি এমন তথ্য যা কম্পিউটারের ব্যাপারে জানা প্রয়োজন

কম্পিউটারের ফুল ফর্ম কি আপনার জানা । সঙ্গে রইল 11 টি এমন তথ্য যা কম্পিউটারের ব্যাপারে জানা প্রয়োজন

কম্পিউটারের ফুল ফর্ম “কমোন অপারেটিং মেশিন পারপাসলি ইউস ফর টেকনোলজিকাল এন্ড এডুকেশনাল রিসার্চ” – ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনাকে এমনটাই দেখাবে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন কম্পিউটারের ফুল ফর্ম বলে আসলে কিছু নেই।

কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি ভারতবর্ষে নয়, এটি আসলে একটি বিদেশী শব্দ। কম্পিউটার শব্দটি এসেছে “কম্পিউট” শব্দ থেকে, যার অর্থ গণনা করা। কি ভাবছেন? কম্পিউটারে তো শুধু গণনার কাজ হয় না, তাহলে ক্যালকুলেটর কেই তো কম্পিউটার বলা যায়। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আসলে ক্যালকুলেটরও একধরনের কম্পিউটার। আর কম্পিউটারে শুধু গণনার কাজ হয় না ঠিকই, তবে একদম গোঁড়ার দিকে যখন প্রথম কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছে, তখন কিন্তু কম্পিউটারে শুধু গণনার কাজই করা যেত। আর আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে যেভাবে আমরা কম্পিউটার দেখে অভ্যস্ত, শুরুর দিকে কম্পিউটারও এই থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। 

কম্পিউটারের কথা শোনেননি বা জানেন না এমন মানুস আজকাল খুঁজে পাবেন না বললেই চলে। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই আজকাল কম্পিউটার রয়েছে। ছোট বড় সকলেই কম্পিউটারের সঙ্গে কমবেশি পরিচিত।

কি এই কম্পিউটার? কম্পিউটার হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা আমাদে কাজকে সহজ করে তোলে, এবং যে উদ্দেশ্যে প্রোগ্রামিং  করা হয়েছে সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধান করে থাকে। কম্পিউটার ব্যবহার তো করে থাকেন, কিন্তু কম্পিউটারের ব্যাপারে এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলি আপনার জেনে রাখা ভালো। 

চলুন দেখে নেওয়া যাক কম্পিউটারের ব্যাপারে এমন ১১ টি তথ্য

কম্পিউটারের ইতিহাস

ল্যাপটপ কিংবা ট্যাব, আপনি যে কোন জায়গার রাখতে পারেন, এর জন্য আলাদা করে খুব বেশি জায়গা প্রয়োজন নেই। কিন্তু জানেন কি ১৮২২ সালে আবিষ্কৃত প্রথম কম্পিউটারের অজন ছিল প্রায় ৭০০ পাউন্ড। বড় বড় আলমারির ন্যায় সেই কম্পিউটার রাখতে আস্ত একখানি ঘরই লেগে যাবে।

 ভাইরাস

ভাইরাস নিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত থাকি বিশেষত এমন কোন পেন ড্রাইভ কম্পিউটারে ইনসার্ট করলে যা অন্যান্য অনেক কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়েছে। ভাইরাসের আক্রমণ এরানর সর্বোত্তম উপায় হল কোন সন্দেহজনক ফাইলে ক্লিক না করা।

 প্রায় ৬০০০ ভাইরাস প্রত্যাক মাসে তৈরি হয়

হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। প্রায় ৬০০০ টি বা তারও বেশি ভাইরাস প্রতি মাসে তৈরি করা হয়। ভাবতে পারছেন কতখানি সতর্কতা প্রয়োজন? এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক ভাইরাস ছিল MyDoom জা ৩৮.৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করতে সমর্থ হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে ভাইরাসের সংখ্যা ছিল সাকুল্যে ৫০ টির মত, এখন বেড়ে এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮০০০। 

 শিশুদের জন্য উপকারী হতে পারে

অনলাইনে এমন অনেক কোর্স আপনি পাবেন যা থেকে সন্তানকে প্রোগ্রামিং শেখাতে পারবেন। বাছছাদের  বয়স উপযোগী এই সব কোর্সের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটার মানেই টা বাছছাদের জন্য ক্ষতিকর ভিদিও গেম খেলার মাধ্যম, এমন ভুল ধারনা পুষে রাখবেন না। 

আপনি ভাবেন কম্পিউটারের অনেক বুদ্ধি, সব পারে

আমার আপনার মত এমন অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা ভাবেন কম্পিউটার মানে সে তো অনেক বুদ্ধিমান, যে কাজই দেওয়া হবে ঝটপট করে দেবে। ভুল। কম্পিউটার আসলে 0, 1 ছাড়া কিছুই বোঝে না, তাকে বিশেষ উপায়ে নির্দেশনা দিতে হয়। এই নির্দেশনায় ছোট্ট একটা ভুলও সব গন্ডগোল করে দিতে পারে।

 দীর্ঘ সময় কম্পিটার ব্যবহার না করে বিরতি নিন

কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে যে আলো আসে তা আপনার চোখের জন্য হানিকারক। একনাগাড়ে অনেকক্ষণ কম্পিউটারে কাজ না করে 20 মিনিট অন্তর বিরতি নিন। এটি আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।

 প্রথম আবিষ্কৃত মাউস কাঠের তৈরি

কম্পিউটারে ব্যবহৃত মাউসের সঙ্গে তো আমরা সকলেই পরিচিত। এখনকার মাউসে আমরা সাধারণত দুটো বোতাম ও একটি হুইল দেখে থাকি, কিন্তু জানলে অবাক হবেন প্রথম আবিষ্কৃত মাউসটি কাঠের তৈরি করা হয়েছিল, তাতে একটি বোতাম ও দুটি হুইল ছিল যা এখন ব্যবহৃত মাউস থেকে অনেকটাই আলাদা।

কম্পিউটার ব্যবহারের সময় চোখের পলক ফেলার ফেলার হার কমে যায়

মানুষ সাধারণত প্রতি মিনিটে কুড়ি বার চোখের পলক ফেলে। বিশেষজ্ঞরা মোটামুটি এমনই একটি গড় হিসেব দেখিয়েছেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে কম্পিউটারে কাজ করার সময় মানুষের চোখের পলক ফেলার হার কমে আসে। 

 এমন কম্পিউটার হতে পারে কি যা জলের উপর চলতে পারে?

বিস্ময় ধরে রাখতে পারছেন না তো? সত্যিই এমন আবিষ্কার করা হয়েছে যা জলের উপরেও চলে। রাশিয়ার বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির লুকিয়ানভ এটি তৈরি করেন ১৯৩৬ সালে। এটি বিশ্বের প্রথম এমন কম্পিউটার যা আংশিক ডিফারেন্সিয়াল সমীকরণ সমাধান করতে পারে। 

 কীবোর্ডের লেটারগুলো এমন এলোমেলো কেন হয়?

“কীবোর্ডের লেটারগুলো কেন যে এলোমেলো হয়” এই প্রশ্ন কিন্তু সবার মাথাতেই একবার হলে আসে। এলফাবেট অনুযায়ী সাজানো থাকলেই না বেশ ভালো হত। এই কীবোর্ডের আবার একখানি নামও আছে। QWERTY কীবোর্ড। এই কীবোর্ড কিন্তু আপনাকে বিভ্রান্ত করতে বানান হয়নি। বরং এটি ডিজাইন করা হয়েছিল টাইপিং এর গতি আরো বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।

প্রথম 1GB হার্ড ড্রাইভ

বর্তমানে আমরা যে হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করে থাকি তার আকার বা আয়তন একটি ছোট ডাইরিড় থেকেও কম। কিন্তু IBM কোম্পানির তৈরি করা প্রথম হার্ড ডিস্ক ড্রাইভটি একটি রেফ্রিজারেটরের মত আকারের ছিল এবং তার ওজনও হয়েছিল ৫৫০ পাউণ্ড। অর্থাৎ প্রায় ২৫০ কেজি। 

sourece- wiki

আরো পড়ুন-

লোকের সঙ্গে একেবারেই মিশতে পারে না সন্তান। এই কৌশল কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন

শিশুর অঙ্কন প্রতিভার পুরোটাই আপনার দেওয়ালে প্রতিফলিত হচ্ছে। আসুন সমাধান খুঁজে নেওয়া যাক

টিভি বা স্মার্টফোন ছাড়া শিশু এক গ্রাসও মুখে তুলতে চায় না। অভ্যাস ছাড়াবেন কিভাবে?

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোন কাজগুলো করবেন আর কোনগুলো করবেন না। জেনে নিন 10টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *